Wednesday, July 27, 2016

Banglanew24.com: জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
প্রতি বছর ১১ হাজারের বেশি নারী বাংলাদেশে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের কারণে মারা যায়। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করালে এই রোগের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। 
সম্প্রতি ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেল্থ সার্ভিসেস -এর নন-কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এন সি ডি সি) এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ফিমেইল ক্যান্সার ফাউন্ডেশন (এফ সি এফ), নেদাররল্যান্ডস এর যৌথ উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ডি জি এইচ এস এর হসপিটাল এ্যান্ড ক্লিনিকের পরিচালক  প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শামিউল ইসলাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,  আমরা জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের ঝুঁকির দিকগুলো জানি এবং কীভাবে তা নিরাময় করা যায় সেটাও জানি। এই কারণে এই রোগটিকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা যদি নারীদের প্রতি ছয় মাস পর  পরীক্ষা করি তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব। চরের মানুষজন ফ্রেন্ডশিপের জাহাজ হাসপাতালের জন্য অপেক্ষা করে যে কখন জাহাজ আসবে আর তারা ডাক্তারের কাছে যাবে।ফ্রেন্ডশিপ জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য কাজ করে যাচ্ছে যা খুবই ভাল একটি উদ্যোগ। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের দূর্গম এলাকায় জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা প্রদানে এনজিওদের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার ওপর গুরত্বারোপ করেন। 
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, এই রোগে আক্রান্তদের পুরো শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের কাছে যান এবং তাদের মধ্যে স্বল্প সংখ্যককেই বাঁচানো সম্ভব হয়। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারকে নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সনাক্তকরণ করা জরুরি। দেশের দুর্গম অঞ্চলে এই রোগের হার  ভয়াবহ যেখানে নারীরা সহজে স্বাস্থ্যসেবা  গ্রহণের এবং এই রোগ সর্ম্পকে জানতে পারে না।
 
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক রুনা খান। তিনি বলেন, আমাদের এক বছরের বেশি সময় লেগেছে  চর এলাকার মানুষদের বোঝাতে যে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের পরীক্ষা খুবই জরুরি। এখন এই নারীরা নিজেরাই আসেন তাদের পরীক্ষা করাতে। 
তিনি বলেন, প্রায় ৫০ হাজার নারীকে বছরগুলোতে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের পরীক্ষা করানো হয়েছে যাদের মধ্যে অন্তত ১৫০০ জন মহিলা জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত। এদের ২০ জনকে আমরা রেফার করেছি আর বাকিদের আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। 
 
বিশেষ এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপের হেল্থ সেক্টরের টিম লিডার ডা. নাহিদ নজরুল, ডা. ফারুক আহমেদ খান, সহযোগী অধ্যাপক, সিএমই, ডা. জালাল আহমেদ, অধ্যক্ষ, আইএইচটি, ডা. জেবুন্নেসা হোসেইন, ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, ডা. জাহিদুর রহমান, ডা. আশিস কুমার সাহা, ডা. মিথিলা ফারুক, সহকারী অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ জুনায়েদ আলী।