Saturday, March 12, 2016

Bonikbarta: চরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবায় ভাসমান ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল

মেহেদী আল আমিন 
ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় রয়েছে ছোট বড় প্রায় ৩০০ চর। সড়ক ও রেললাইন বসানোর সুযোগ নেই; নৌপথই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। জামালপুরে দেওয়াগনঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এমনই এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ও আধুনিক চিকিত্সাসেবা পৌঁছে দিচ্ছে এমিরেটস ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল। জাহাজেই স্থাপন করা হয়েছে এ হাসপাতাল। দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ভাসমান হাসপাতালটিই ঘুরে বেড়াচ্ছে এক চর থেকে অন্য চরে। 
বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর ও কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় প্রায় ৩০০ চরের ১৬৬টিই রয়েছে গাইবান্ধা জেলায়। কয়েক বছর পর পর ভেঙে যায় এসব চর। এজন্য এখানে হাসপাতাল বা স্থায়ী অবকাঠামো নেই বললেই চলে। বেসরকারি উদ্যোগেও গড়ে উঠছে না ক্লিনিক। এ অবস্থায় জাহাজে করে অপারেশন থিয়েটারসহ একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চরবাসীর কাছে নিয়ে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ। এক চরে কিছু দিন থাকার পর অন্য চরে যায় ভাসমান এ হাসপাতাল (জাহাজ)। আবার বিভিন্ন চর থেকে রোগীদের নিয়ে আসার জন্য রয়েছে নিজস্ব ট্রলার। এছাড়া জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স। লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ ও রংধনু ফ্রেন্ডশিপ নামে আরো দুটি হাসপাতাল রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। থাকছেন দেশী-বিদেশী ডাক্তার ও নার্স। নতুন করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বের সব প্রসিদ্ধ চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ভিসেট। লুক্সেমবার্গ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আছে সেস  টেককম সার্ভিসেস ও ই-মেডিকেল কমিউনিকেশনস। কারিগরি সহায়তা করেছে স্কয়ার ইনফরম্যাটিকস (বাংলাদেশ লিমিটেড)। ৫ মার্চ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি জাহাজে একযোগে উদ্বোধন করা হয় ভিসেট। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডশিপের নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, যেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নেই, তাদের কাছে চিকিত্সাসেবা পৌঁছে দেই বিনা পয়সায়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সেবা পাচ্ছেন চরাঞ্চলের মানুষ। ভিসেটের সুবিধা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, অপারেশনের সময় বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া যাবে এ প্রযুক্তিতে। অপারেশনের পরও নিয়মিত ফলোআপ করা যাবে ভিসেটের মাধ্যমে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বড়খাল এলাকার বাসিন্দা মো. ইয়াসিন আলী জানান, এখানে নিবন্ধনের জন্য ৫ টাকা নেয়া হয়। আর বিনা পয়সায় করা হয় সব চিকিত্সা; অপারেশনেও টাকা লাগে না। এখানকার ডাক্তারদের ব্যবহার অনেক ভালো। ৭৮টি চরে স্বাস্থ্য স্যাটেলাইট কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ফ্রেন্ডশিপের। কমিউনিটি দল রয়েছে প্রতিটি চরে। প্রতিটি চরে প্রতি মাসে একদিন একজন প্যারামেডিক চিকিত্সক বসেন কমিউনিটি ক্লিনিকে। গাইবান্ধায় ও কুড়িগ্রামে চারজন করে, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় দুজন করে প্যারামেডিক চিকিত্সক রয়েছেন। সেখানে জটিল কিছু ধরা পড়লে ফ্রেন্ডশিপের ট্রলারে করেই রোগীকে নিয়ে আসা হয় ভাসমান জাহাজ হাসপাতালে। জরুরি পরিস্থিতিতে নৌ-অ্যাম্বুল্যান্স। শতাধিক চরে এভাবে স্বাস্থ্য ও চিকিত্সাসেবা নিশ্চিত করছে ফ্রেন্ডশিপ। http://bonikbarta.com/news/2016-03-12/69097/%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AA-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2/